Latahzan Foundation

Previous slide
Next slide

লা তাহযান ফাউন্ডেশন সম্পর্কে

লা তাহযান ফাউন্ডেশন একটি অঙ্গীকারবদ্ধ সামাজিক সংগঠন, যার উদ্দেশ্য সমাজের উন্নয়ন এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা, অসহায়দের সাহায্য করা, এবং সমাজে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। আমরা বিশ্বাস করি, মানবতার প্রতি সহানুভূতি এবং সহায়তা প্রদানই আমাদের সঠিক পথ।

আমরা বেকার যুবকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যাতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি, আমরা দরিদ্র ও বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, খাদ্য সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। আমাদের আরও একটি লক্ষ্য হলো শিক্ষার প্রসার ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে।

লা তাহযান ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি উন্নত সমাজ গড়তে পারবো। আমাদের ফাউন্ডেশন প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যার মাধ্যমে আমরা সমাজের জন্য আরও বড় পরিসরে সেবা করতে পারবো। আমরা চাই, সমাজের প্রতিটি মানুষ সমান সুযোগ পাবে, কেউ বেকার বা অসহায় থাকবে না, এবং আমরা একসাথে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারবো।

মানবতার সেবাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সমাজ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

 

চলুন একসাথে একটি পরিবর্তন আনি

সাধারণ তহবিল

সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে দান করলে সেটা সে খাতেই ব্যয় করে থাকে লা তাহযান ফাউন্ডেশন। আর সাধারণ তহবিলের অর্থ ফাউন্ডেশন পরিচালিত সকল কল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং লা তাহযান’র মানব সেবা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ও অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগ পরিচালনায়ও এই খাতের অর্থ ব্যয় করা হয়।

যাকাত তহবিল

লা তাহযান ফাউন্ডেশন মানবতার কল্যাণে কাজ করছে, সমাজের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করতে এবং অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমরা নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনার সহযোগিতা একটি পরিবারের জীবন পাল্টে দিতে পারে এবং তাদের নতুন আশার আলো দেখাতে পারে। লা তাহযান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে আপনার অবদান রাখুন।

মাসিক অনুদান তহবিল

লা তাহযান ফাউন্ডেশনের মাসিক অনুদান তহবিলে নিয়মিত দান করার মাধ্যমে আপনি ফাউন্ডেশনের সকল কল্যাণমূলক কাজের অংশীদার হতে পারেন। এই তহবিল থেকে মানবসেবামূলক কার্যক্রম, নতুন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, সামাজিক উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়া, ফাউন্ডেশনের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা হয় এই তহবিল থেকেই।

বৃক্ষরোপণ তহবিল

বিভিন্ন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, গাছ লাগানো সাদাকায়ে জারিয়া। লা তাহযান ফাউন্ডেশন এই উদ্যোগের মাধ্যমে গাছ রোপণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত রোপনকৃত গাছগুলি জীবিত থাকবে, ততদিন তারা যত প্রাণী, মানুষ ও পশুপাখির জন্য উপকারে আসবে—ফুল, ফল এবং ছায়া প্রদান করবে, তা রোপণকারীর আমলনামায় সদকায়ে জারিয়া হিসেবে লেখা হবে। রোপণকারী ব্যক্তি যদি মারাও যান, তবে তাঁর আমলনামায় এই সওয়াব পৌঁছাতে থাকবে। আসুন, আমরা আমাদের সমাজের উন্নয়ন ও পরিবেশের সুরক্ষায় একযোগে কাজ করি।

 

শীতার্ত তহবিল

প্রতিবছর বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (১৮%) বন্যায় প্লাবিত হয়। এ সময় বিশেষভাবে দেশের উত্তর অঞ্চলের বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। লা তাহযান ফাউন্ডেশন দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে প্রতিবছরই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, আশ্রয় প্রদান এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো তাদের দুঃসময়ে সহযোগিতা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা। আসুন, আমরা একসাথে এই মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করি এবং বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াই।

 

সবার জন্য কুরবানী

অনেক অভাবী মানুষ বছরে কেবল কুরবানীর ঈদেই গরু বা ছাগলের গোশতের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান। এ কারণে প্রতি বছর ‘সবার জন্য কুরবানী’ শিরোনামে লা তাহযান ফাউন্ডেশন কুরবানীর গোশত বিতরণের আয়োজন করে। কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পাদন করা যায়। লা তাহযান ফাউন্ডেশন সচ্ছলদের পক্ষ থেকে কুরবানীর দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চলে কুরবানী করে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে গোশত বিতরণ করে।

 

চলমান প্রজেক্ট

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স

বেকার ও অদক্ষদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স। প্রথমে তিন-চার মাসব্যাপী অনলাইন কোর্স পরিচালনার পর পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণদের অনলাইন প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে ইন-শা-আল্লাহ।

বৃক্ষরোপণ প্রকল্প-২০২৪

বিক্রয় রূপন হলো একটি সৃজনশীল পদ্ধতি যা পণ্যের বা পরিষেবার বাজারজাতকরণের কৌশলকে নির্দেশ করে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্যকে কার্যকরীভাবে গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করে এবং বিক্রয়ের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে।

স্মার্ট টেইলারিং অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ

লা তাহযান ফাউন্ডেশন একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা সমাজের অসহায়, দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সামাজিক উন্নয়ন, মানব সেবা, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে, এবং আমরা তাদের সেই সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সাহায্য করতে চাই।

আমাদের কার্যক্রম

যাকাতের অর্থে স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্প

স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে লা তাহযান ফাউন্ডেশন দরিদ্রদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উপকরণ-সহায়তা প্রদান করে। বেকার ও অদক্ষ নারী-পুরুষদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আলাদাভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল করার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।

হালাল রিযক উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সালাত সমাপ্ত হওয়ার পর তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করো; আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সূরা জুমু‘আহ: আয়াত-১০)

আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সমাজের হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করতে পারব এবং তাদের স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করব।

ইফতার ও রমাদান ফুড বিতরণ

ইফতার ও রামাদান ফুড বিতরণ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কর্মসূচির একটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী সিয়াম পালনকারীরা যেন রামযান মাসে নির্বিঘ্নে সিয়াম পালন ও ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ইফতার করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সিয়াম পালনকারীকে ইফতার করাবে তাকে সিয়াম পালনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হবে। তাতে সিয়াম পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (সুনান তিরমিযী: হাদীস-৮০৭; সুনান ইবনু মাজাহ: হাদীস-১৭৪৬)
আস-সুন্নাহ ফউন্ডেশন এ যাবৎ দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮৫জন সিয়াম পালনকারীর মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে।
ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল, ছোলা, মুড়ি, গুড়ো দুধ, চিড়া, খেজুর, তেল, চিনি, সেমাই, ইসবগুলের ভূসি ইত্যাদি।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র। গরমের তীব্রতায় পুড়ছে দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ নিধনসহ আমাদেরই হাতের কামাইয়ের পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি আমরা। এ থেকে রক্ষা পেতে দরকার প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে লা তাহযান ফাউন্ডেশন প্রতিবছর সারাদেশে ফলজ বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

সাধারণ মানুষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদ, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী—যাদের গাছ লাগানোর মতো জমি রয়েছে—ফলজ গাছের চারা ক্রয় করে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাদাকায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং দরিদ্রদের বছরব্যাপী আয়ের সুযোগ প্রদান করা হয়।

গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও ফযীলত অপরিসীম। এটি একটি সাদাকায়ে জারিয়ামূলক নেক কাজ। যদি কেউ মানুষ কিংবা প্রাণীকূলের উপকার সাধনের লক্ষ্যে ফলজ বা বনজ গাছ রোপণ করে এবং এর মাধ্যমে সাওয়াব আশা করে, তবে এটি একটি উত্তম সাদাকায়ে জারিয়াহ; যার সওয়াবের ধারা ব্যক্তির মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রতিবেদন

আসুন সবুজের অভিযানে সবাই অংশগ্রহণ করি। গ্রীন কালিহাতি এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অভিযান অব্যাহত।

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা।

আর এস পাইলট স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাদক বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করানো কর্মসূচি

Scroll to Top